অতৃপ্ত অশরীর ছায়া পর্বঃ ০৬ (শেষ পর্ব) | Dissatisfied Shadow Part-06 (Full & Final)

 


#পর্ব_০৬_এবং_শেষপর্ব
.
ওদেরও তো কষ্ট হয়।
হে আল্লাহ তুমি তাদের কষ্ট কমিয়ে দাও তারা যে খুব অসহায়।
তাসফিয়াঃ তোমাকে এই জন্য আমার খুব ভালো লাগে তুমি সবসময় গরিব দুখি মানুষের কথা চিন্তা করো।
সাঈদঃ সেটা হয়তো জানি না তবে মানুষ হয়ে মানুষের কষ্টা হয়তো বুঝতে পারি।
.
ঠিক তখনি দেখলাম পাশে একটি অচেনা রুপবতী মেয়ে বলে উটলা....
.
রূপবতীঃ তারতারি যান দরজাটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। রুপবতী যখন কথা বলছিলো তখন তাসফিয়া গভির ঘুমে তলিয়ে গেছে।
সাঈদঃ কিন্তু কোথায় যাবো?
রূপবতীঃ কিন্তু কী কোনো কিন্তু নেয়।বেচে থাকলে আবারো দেখা হবে।কথাটা বলে মেয়েটি কোথায় চলে গেল।তাসফিয়া তখন ঘুম থাকার কারণে তাকে আর ডাকিনাই।এরপর কোনো কিছু না ভেবে তাসফিয়া কে ঘুম অবস্তায় বাই বলে... দরজার কাছে চলে আসলাম।
দরজাটার ভিতরে ঢুকতেই বিশাল এক জঙ্গল দেখতে পেলাম। এর মধ্যে দিশার শরিলে রিয়াদ ঢুকে পরেছে।নিলাসা বের হইয়ে গেছে দিশার শরিল থেকে,নিলাসার কাজ শেষ তাই।
.
আমি যেখান দিনের বেলায় ভিতরে ঢুকেছিলাম।
তার বিপরীত ঘরে চলে আসলাম।
কিন্তু আশ্চর্য কর বিষয় হলো।
আমি যাওয়ার ২ দিন হয়েছে মাত্র, তারি মধ্যে সব কিছু বদলে গেছে।
আমার গাাড়িটা বাইরে দাড় করা আছে।
.
সেটার উপরে।
কিছুটা মরিচা মরিচা ভাব ধরে আসছে।
এসবের মানে কিছু বুঝলাম।
কিন্তু যখন গাড়ির দরজাটা খুলে আমার ফোনটা হাতে নিলাম।
তখন সব থেকে বড় শক খেলাম।
.
আমি গেছিলাম।
২/৩/২০১৯।
এ কিন্তু।
.
আমার ফোনে
আজকের তারিখ
৪/৫/২০১৯।
.
তাহলে আমার যাওয়ার পর দু মাস হয়ে গেছে।আর আমি জঙ্গলে কি করে গেলাম,তার কোনো বুঝতে পারলাম না। আমি জঙ্গলে এক সাদু বাবার দেখা পাইলাম,সেই সাধু বাবাকে সব খুলে বল্লাম,তিনি বল্লো এই অতৃপ্ত আত্মা কে নিশপাপ মানুষের রক্ত মিশিয়ে গোসল করায় দিলে শেষ হইয়ে যাবে সেই আত্মা। হঠাৎ তখনি তাসফিয়ার কথা মনে পরলো।
হায় হায় এতদিনে তাসফিয়া আর দিশার অবস্থা যে কী হয়েছে উপর ওয়ালাই জানে।
আমি ফোনে কল হিস্টোরি চেক করতেই দেখলাম।
তাসফিয়া ৪৯০০ বার কল করছে।
না এখানে সময় নষ্ট করলে চলবে না।
.
তারাতাড়ি বাসায় যেতে হবে।
গাড়িটা স্টার্ট দিয়ে।
জঙ্গল থেকে বের হয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম।
তাসফিয়াঃ কান্না কাটি করে দিন কাটায়, আর নামাজ পড়ে আল্লাহ্‌ এর কাছে ২ হাত তুলে ফরিয়াদ করে,
হে আল্লাহ আমার স্বামী বেচে আছে নাকি মরে গেছে আমি জানি না।
.
ওনি যেখানেই থাকুক না কেনো আমার কাছে ফিরিয়ে দিন।
তখনি বাইরে গাড়ির আওয়াজ শুনতে পেলাম।
ঘর থেকে দৌড়ে বেড় হলাম।
বেড় হতেই দেখলাম,
ওনি গাড়ি থাকে নামছেন।
আমি নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারি নি।
দৌড়ে গিয়ে ওনাকে জরিয়ে ধরে জোরে জোরে কাদতে লাগলাম।
সাঈদঃ গাড়ি থেকে নামতেই কেউ একজন এসে আমাকে জরিয়ে ধরে কাদতে লাগলো।
আমার বুঝতে বাকি রইলো না যে এটা তাসফিয়া।
.
তাসফিয়াঃ এত দিন কই ছিলেন বলেন।( ওনার বুকে হালকা ঘুষি মরে।)
.
সাঈদঃ একটু কাজে গেছিলাম।
তাসফিয়াঃ না। আমাকে না বলে কোথায় গেছিলেন?
নাকি আরেকটা বিয়ে করছেন।
সাঈদঃ আরে পাগলি বিয়ে করতে যাবো কেনো।
আমার এত সুন্দরী একটা বউ থাকতে।
.
তাসফিয়াঃ এ্যা বললেই হলো।
আপনি আমায় একটুও ভালো বাসেন না।
না হলে আমাকে না বলে এভাবে দুই মাস একা থাকতে পারতেন না।
সাঈদঃ দিশা কোথায়।
তাসফিয়াঃ দিশা এখন আগের মতো নেই।
তার পেট ও ফুলে গেছে।
চেহেরাটাও বদলে গেছে।
.
সাঈদঃ তখনি মনে পড়লো সাধুবাবার কথা।
পবিত্র ব্যক্তিররক্ত লাগবে।
কিন্তু এই।পবিত্র ব্যক্তি পাবো কোথায়?? তখনি মনে পড়লো।
নিষ্পাপ তো এক মাএ শিশুরাই।
তাই তাসফিয়াকে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম।
.
সেখানে গিয়ে একটা ডাক্তার এর সাথে কথা বলে।
২৪ ঘন্টা আগে যে শিশু গুলা হয়েছে তাদের মাঝ খান থেকে একজনের কিছুটা রক্ত নিলাম।
তাসফিয়াঃ এই রক্ত কী করবা।
.
সাঈদঃ তার পর তাসফিয়াকে সব কিছু বুঝিয়ে দিলাম।
তাসফিয়াঃ তাহলে তারাতারি বাসায় চলো।
তার পর বাসায় চলে আসলাম।
দিশার রুমে যেতেই দেখলাম।
দিশা ঘুমাচ্ছে তাই এই সুযোগে আমি ওর হাত গুলা শক্ত করে চেপে ধরলাম।
.
তাসফিয়া।
সাধুর দেওয়া কালো একটা তেলের মতো।
একটা তরল পদার্থ সেটা দিশার শরীরে ভালো ভাবে মেখে দিলো তাসফিয়া।
ওমনি দিশা জেগে গিয়ে,বলা শুরু করলো।
.
ছার বলছি আমায়।
না হলে তোরা কেউ বাচবি না।
সাঈদঃ তাসফিয়া তারাতারি রক্ত গুলা ভালো পানিতে মিশিয়ে বালতিতে করে আনো।
তাসফিয়াঃ আমি দৌড়ে গিয়ে রক্তটা ভালো পানিতে মিশিয়ে এনে দিশার উপর ঠেলে দিলাম।
.
ওমনি।
দিশার শরীর থেকে একটা কালো।ছায়া।
বেড় হতে লাগলো।
আর৷ বলতে লাগলো তোরা কেউ বাচবি না।
বলেই উদ্ধাও হয়ে গেলো।
দিশা সঙ্গনন হারালো।
.
সাঈদঃ দিশাকে রুমে শুয়ে দিয়ে।
পানিটা সারা বাড়িতে ছিটিয়ে দিলাম।
সাথে সাথে মুক্তি পেলো।
ওই অতৃপ্ত আত্মা গুলো।
অভিসাপ মুক্ত হলো বাড়িটা।
.
পরের দিন।
দিশাঃ বাবা, বাবা।
তুমি কখন এলে তুমি না বিদেশে গেছিলে।
সাঈদঃ এই তো মা এখনি আসলাম।
তার মানে দিশার কিছু মনে নেই।
যাক বাবা তাহলেই ভালোই হলো।
দিশাঃ বাবা আমার একটা কিউট ভাই লাগবে।
বাবা তুমি মাকে বলো না একটা কিউট ভাইয়া এনে দিতে।
সাঈদঃ ওকে মা বলবো।
তখনি তাসফিয়া।
এই বুড়ি তোমাকে কোন ভাই এনে দিতে পারবো না আমি।
.
দিশাঃ বাবা তুমি মা কে বলো না প্লিজ।
সাঈদঃ ওকে।
রাতে দেখা যাবে।
সাঈদঃ তাসফিয়া চলো দিশার ভাইকে নিয়ে আসি।😋😋
যা দুস্টু এসব বলতে লজ্জা লাগে না।
লজ্জার কী আছে তার পর দুজনে তলিয়ে গেলাম ভালোবাসার সাগরে।
< ===>The End <===>
..
.
#লিখা_আবু_সাঈদ
..
#বিঃদ্রঃ ভুলক্রুটি ক্ষমা ও সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট করে সাথে থাকবেন। আপনাদের লাইক কমেন্ট দেখলে মনে হয় গল্পটা আপনাদের ভালো লেগেছে এবং আপনারা গল্পটা পড়েছেন,আর তাতে করে আমার ও নিত্য নতুন গল্প দেওয়ার আগ্রহ বেড়ে যায়। 
 
আগের পর্বের লিংকঃ 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url