একজন মনের মত মানুষ চাই। মোবাইল নাম্বার ভিডিওতে দেওয়া আছে। Moner Moto Akjon Manush Cai | Episode#07
একজন মনের মত মানুষ চাই। মোবাইল নাম্বার ভিডিওতে দেওয়া আছে। Moner Moto Akjon Manush Cai | Episode#07
একজন মনের মত মানুষ চাই। মোবাইল নাম্বার ভিডিওতে দেওয়া আছে। Moner Moto Akjon Manush Cai | Episode#07
রহস্যের_খোঁজে
#পর্ব_২
লেখা_জেসমিন_দিয়া
পরের দিন সকালে তারাতারি ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে অভিকে কল দিয়ে জানালাম যে আমি বের হচ্ছি। অভির দেওয়া ঠিকানায় পৌছে আমি তার জন্য অপেক্ষা করছি। চুপ করে বসে ভাবছি আমার সাথে কী ঘটছে। শপিং করতে গিয়ে তখন সবকিছু আবার কেন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিলো! কখোনো ভাবিনি এমন রহস্যময় কিছু বাস্তবে ঘটতে পারে এবং এখন আমার সাথেই ঘটছে। তবে আমাকে এই রহস্য খুঁজে বের করতেই হবে। একদিকে আমি অভিকে একদমই চিনিনা আর অন্যদিকে অভি আমাকে খুব ভালো ভাবেই চিনে। মাঝখানে ঘটে যাওয়া রহস্যে লুকিয়ে থাকা সময়ের ঘটনা গুলোই আজ অভির কাছ থেকে জেনে নেওয়ার অপেক্ষায় আছি।
অপেক্ষা করতে করতে কখন যে এক ঘন্টা পার হয়ে গেলো তা বুঝতেই পারলাম না। অভি এখনো আসেনি। তার তো এতো দেরি হওয়ার কথা না! অভিকে কল দেওয়ার জন্য ফোনটা হাতে নিলাম। তারপর যা দেখলাম তা দেখার জন্য আমি একদমই প্রস্তুত ছিলাম না। ফোনে কোথাও অভির নাম্বার নেই। অভি নামে কোনো নাম্বার সেভ করাও নেই। আমার স্পষ্ট মনে আছে আমি বাসা থেকে বের হওয়ার সময় অভিকে কল দিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েকবার খুঁজেও তার কোনো নাম্বার পেলাম না।
ভাবছি বাসায় কারো কাছে নিশ্চই তার নাম্বার থাকবে। মা কে কল দিলাম। আমি কিছু বলার আগেই মা বললো, "কীরে, এই রোজার মধ্যে হঠাৎ কোথায় গেলি? কখন আসবি?" আমি যেন পাথর হয়ে গেলাম। "এখোনি আসছি" বলে ফোনটা কেটে দিলাম। আমি এতক্ষন যা ভাবলাম সব এক মুহুর্তে ব্যার্থ হয়ে গেল। রহস্যকে সহজ করতে এসে যেন আরো কঠিন রহস্যে গুলিয়ে গেলাম।
অভির সাথে দেখা করা আর সম্ভব হলোনা। তবে রহস্যের ছোট একটা খোঁজ পেয়েছি মনে হচ্ছে। বুঝতে পারলাম, আমি বাসায় থাকলে যা ঘটছে বাহিরে তার কোনো অস্তিত্ব নেই আর বাহিরে থাকা অবস্থায় যা ঘটছে বাসায় তার কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব! একই সময়ে আমি দুই রকম পরিবেশে কীভাবে চলছি? বাসায় প্রবেশ করার আগে কল দিয়ে ছোট বোনের সাথে কথা বলছি। ভাবছি তার সামনে যাওয়া পর্যন্ত কথা বলতে থাকবো।
অনেক কথা বলতে বলতে বাসার সামনে গিয়ে তাকে দরজা খুলতে বললাম আর ফোন কাটতে না করলাম। সে দরজা খুলে বললো, "বাসার কাছে এসে কল দিলে কেন? বাসায় এসেই তো কথা বলতে পারতে।" আমি তার কাছে জানতে চাইলাম কল দিয়ে আমি তাকে কী কী বলেছি। সে বললো, "শুধু দরজা খুলতেইতো বললে। কলিং বেল কী নষ্ট হয়ে গেছে?" এই কথা শুনে আমার যা বুঝার তা আমি বুঝে গেছি। ছোট বোনকে বললাম "ইচ্ছে হয়েছে তাই এমনি কল দিয়েছি। তুই এখোন যা।"
হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো। অভি কল দিয়েছে। অথচ একটু আগে আমার ফোনে এই নাম্বার এর কোনো অস্তিত্বই ছিলোনা। আমি কল রিসিভ করলাম। ওপাশ থেকে অভি বললো, "এত সময় লাগছে কেন তোমার আসতে? কখন আসবে তুমি? আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।" কী আশ্চর্য! একই সময়ে একই জায়গায় দুজন অপেক্ষা করেছি অথচ কেউ কারো সাথে দেখা বা যোগাযোগ করতে পারলাম না! তবে আমি সেখানে গিয়েছিলাম তা অভি কে বলে লাভ নেই। সে বিশ্বাস করবেনা। তাই তাকে সরি বলে অন্য কোনোদিন দেখা করবো জানিয়ে ফিরে যেতে বললাম।
ভাবছি আমার চলাফেরার সাথে সবার চিন্তা ভাবনা হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে যায় কীভাবে! অন্য কারো সাথে কেন এমন হয়না? শুধু আমি ই কেন এই পরিবর্তনটা বুঝতে পারি! এদিকে অভির সাথে আমার বিয়ের আয়োজন ও প্রস্তুতি ভালো ভাবেই চলছে। বিয়ের পর যখন বিদায় নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে হবে তখন আমার সাথে তাহলে কী ঘটবে? অনেক কঠিন কিছু কী আমার জন্য অপেক্ষা করছে? উফফ্, আমি আর কিছু ভাবতে পারছিনা। আমার হাতে খুব অল্প সময় আছে। বিয়ে হয়ে যাওয়ার আগে এই রহস্যের সমাধান করতেই হবে। কিন্তু দুইরকম পরিস্থিতির মাঝখানে আমি একদমি একা। কীভাবে কী করবো তা ভেবে এভাবেই দিনগুলো চলে যাচ্ছে।
অভির সাথে আমাকে দেখা করতেই হবে। অভিকে বাসায় আসতে বলবো? নাহ, তাতে লাভ হবে না। বাসায় আসলে সেই বিয়ের কথাই চলবে আর এমন সব কথা হবে যা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। অথচ সবার কথা শুনে মনে হবে যেন আমি সবই জানি। আমাকে বাহিরেই অভির সাথে দেখা করতে হবে। কিন্ত কীভাবে তা করবো? ভাবছি। হঠাৎ একটা বিষয় মাথায় আসলো।
আমি যখন যেখানে থাকি সেই ভিন্ন পরিবেশে সবকিছু বদলে যায়। কিন্তু একটা জীনিস পরিবর্তন হয়না। সেটা হলো আমার ব্রেইন। আমার সবকিছু স্বভাবিক ভাবেই মনে থাকে। কোনো কিছু ভুলে যাইনা। তাই আমি অভির ফোন নাম্বার টি মুখস্থ করে নিলাম। কালকেই খুঁজে বের করবো অভিকে। সে আমাকে না চিনলেও তার সাথে আমাকে দেখা করতেই হবে।
পরের দিন বিয়ের দাওয়াত দেওয়ার জন্য এক বন্ধুর বাসায় যাবো বলে বাসা থেকে বের হলাম। অভির বলা সেই জায়গাতেই গিয়ে বসলাম। ফোনে একবার দেখে নিলাম সত্যি অভির কোনো নাম্বার সেভ করা নেই। আমি মুখস্থ করা অভির নাম্বারটিতে কল দিলাম। রিং হচ্ছে। কল রিসিভ হলো। ওপাশ থেকে একজন সালাম দিয়ে বললো,"হ্যালো, অভি বলছি। আপনি কে বলছেন?"
তারমানে অভি সত্যিই আমাকে চিনতে পারেনি। আমি বললাল,"আমাকে হয়তো চিনবেন না। কিন্তু আপনার সাথে আমার খুব জরুরী কিছু কথা আছে। আমার সাথে একটু দেখা করবেন প্লিজ?" অভি রাজি হলো। কিন্তু পরে দেখা করবে বললো। আমি তাকে এখোনি দেখা করতে বললাম। তাকে বুঝালাম যে এখোনি দেখা করাটা খুব জরুরী। তাকে জানালাম আমি কোথায় আছি এবং এখনি সেখানে আসার জন্য তাকে অনুরোধ করলাম। অভি বললো, "সেটাতো আমার খুব প্রিয় একটা জায়গা। ঠিক আছে, আপনি অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষনের মধ্যে আমি আসছি।"
আমি অপেক্ষা করছি। অভি এসে আমার সামনে বসলো। আমি তার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম। আরেহ্, এটাতো তুলির বড় ভাই। আমি কিছু বলার আগেই সে বললো,"তুমি তুলির সেই বিচ্ছু বান্ধবিটা না!" বিচ্ছু বলার কারন টা ভালো করেই মনে আছে আমার। তুলি আমার ভালো ফ্রেন্ড গুলোর মধ্যে একজন। তুলি তার ভাইয়ের মাত্র দুই বছরের ছোট। তাই দুজন দুজনকে সারাক্ষন জালাতেই থাকতো।
একবার তুলির কথা মত তার ভাইয়ের সাথে আমি বিভিন্ন পরিচয়ে কথা বলে তাকে অনেক হয়রানি করি। হঠাৎ যখন ধরা পরে যাই তখন সে এতোটাই রেগেছিলো যে তা মনে হলেই ভয়ে আমার শরীর কেঁপে উঠতো। তাই সেদিনই ছিলো তার সাথে আমার প্রথম আর শেষ দেখা। তার নামটা আমার মনে ছিলোনা। তবে সেই অভি এখন আমার সামনে বসে আছে আর তার সাথে আমার বিয়ে কীভাবে সম্ভব তা আমি কল্পনাও করতে পারছিনা।
আমি বললাম ,"প্লিজ, এখন সেসব ভুলে যাও। আমি খুব ঝামেলায় আছি এখন। তাই তোমার সাথে দেখা করলাম।" অভি কিছুটা ভাব নিয়ে বললো,"ঠিক আছে, ক্ষমা করে দিলাম। তোমার কী সমস্যা তা বলো।" আমি তাকে বললাম বাসায় তার সাথে আমার বিয়ের আয়োজন চলছে এবং পুরো বিষয়টা তাকে জানালাম। সে খুব মনোযোগ দিয়ে সব কথা শুনলো।
তারপর সে হাসতে শুরু করলো আর বললো,"আমিতো স্কলারসিপ নিয়ে কানাডা চলে গিয়েছিলাম। কোর্স কমপ্লিট করে দুই বছর পর কালকেই দেশে ফিরলাম। তাহলে এই দেশের নাম্বারে এতোদিন আমার সাথে তোমার কীভাবে কথা হলো? তুলির সাথে বাজি ধরে আবার বোকা বানাতে চাইছো। তাইনা? গল্পটা খুবই ইন্টারেস্টিং। তবে আমি আর বোকা হচ্ছি না।"
অভিকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করলাম যে এটা বানানো গল্প না। এটা বাস্তব। কিন্তু অভিকে বিশ্বাস করাতেই পারলাম না। এমন ঘটনা কেউ ই বিশ্বাস করবেনা। আর অভির সাথে আগে যা করেছি তার জন্য সে আরো বিশ্বাস করবে না। হতাশ হয়ে বাসায় ফিরে আসলাম। অভি বলেছে যদি তাকে প্রমান দেখাতে পারি যে এমন কিছু ঘটেছে তাহলে সে বিশ্বাস করবে। কিন্তু কোনো প্রমানের তো অস্তিত্বই থাকেনা।
প্রমান ছাড়া মুখের কথা মানুষ কখনোই সহজে মেনে নিতে চায়না। কিন্তু যদি কখোনো এমন কিছু ঘটে যার কোনো প্রমান ই থাকেনা তাহলে আমি সেখানে কি করতে পারি? যা করার আমাকে একাই করতে হবে। পৃথিবীতে কোনো কিছুই এমনি এমনি ঘটে না। কোনো একটা কারন তো নিশ্চই আছে। কেন এমন হচ্ছে সেই কারন টা জানতে পারলেই রহস্যের কাছে পৌছাতে পারবো।
হঠাৎ অভি কল দিলো। এখন যেন অন্য এক অভির সাথে কথা বলছি। অভির সাথে কথা বলতে এখন আমার ভালোই লাগে। যেই মানুষটা বাহিরে দেখা করলে পাত্তাই দিতে চায়না সেই মানুষটাই বাসায় থাকা অবস্থায় এমনভাবে কথা বলে যেন আমি তার কত আপন। অভির প্রতি আমার একটা ভালোলাগা কাজ করছে যা আগে কখনো অনুভব করিনি। আমার এখোন বিয়ে আটকানোর কোনো ইচ্ছে নেই। তবে কি ঘটতে চলেছে তা নিয়ে খুব ভয়ে আছি।
এভাবেই রহস্যের মাঝে পার হয়ে গেল একটি মাস। আর মাত্র দুইদিন পর আমার বিয়ে। আজ হঠাৎ কেন জানি অভিকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। আমি বাহিরে গিয়ে অভিকে কল দিয়ে দেখা করতে বললাম। তারপর অভির কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম। সে বললো,"আজ দেখা করার প্রয়োজন নেই। আর মাত্র দুইদিন পর তো দেখা হচ্ছেই। তাছাড়া বিয়ের আয়োজন নিয়ে বাসায় একটু ব্যাস্ততা আছে।" আমি অবাক হয়ে বললাম,"কার বিয়ের আয়োজন?" সে বললো,"কার আবার! আমার। এখন মজা করোনা তো। শোনো, বিয়ের দিন তুমি কিন্তু অনেক সুন্দর করে সাজবে যেন বিয়ে বাড়ির সবাই তোমাকে দেখে অজ্ঞান হয়ে যায়।" একটু হেসে অভি বাই বলে ফোন কেটে দিলো।
কী আশ্চর্য! অভি বিয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। দ্রুত বাসায় ফিরে দেখলাম বাসায়ও আমার বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। তাহলে ভিন্ন পরিবেশ একই হয়ে গেছে? কিন্তু কীভাবে হলো! বিয়ে নিয়েই এই রহস্যের শুরু। মনে হচ্ছে বিয়ের আয়োজন দিয়েই হয়তো এই রহস্যের সমাধান হয়ে যাবে। বিয়ের মাঝেই হয়তো প্রকৃত রহস্য লুকিয়ে আছে। কিন্তু হঠাৎ আমার বিয়ে নিয়ে এমন একটা রহস্য কেন তৈরী হলো! কি কারন আছে এর পিছনে? কি ঘটবে সেটাও বুঝতে পারছিনা।
বিয়ের দিন সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই ঘটছে। অভি বর সেঁজে আসলো। বিয়ে সম্পন্ন হলো। সবশেষে বিদায়ের জন্য এগিয়ে যাচ্ছি। বরের সাজানো গাড়িতে আমি ও অভি উঠে বসলাম। সাথে তুলি ও কিছু ফ্রেন্ডও আছে। বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছি শশুর বাড়ির দিকে। এভাবে হঠাৎ জীবনের নতুন একটা অধ্যায় শুরু হয়ে যাবে তা কখোনো ভাবিনি। রহস্যের মাঝে বন্দি থাকলেও এখন কিছুটা ভালো লাগছে।
গাড়ি কিছুদুর যাওয়ার পর অভি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমাকে বললো,"যাক বাবাহ, অবশেষে তোমাকে বাসা থেকে বের করা গেল।" সাথে সাথেই তুলি বললো,"হ্যা, আন্টি কখোনো একদিনের জন্যই তাকে কোথাও থাকতে দেয়না। আর এক সপ্তাহের জন্য রাজি করানো টা আসলেই অনেক কঠিন ছিলো।" আমি তাদের কথা কিছুই বুঝতে পারছিনা।
জানতে চাইলাম এক সপ্তাহের জন্য কোথায় যাচ্ছি। অভি বললো,"কোথায় আবার, এখন সরাসরি বিয়ে বাড়ি, তারপর সেখান থেকে আমাদের বাসায়।" অভি আরো বললো,"তোমাকে বলেছি সুন্দর করে সেঁজে বিয়ে বাড়ির সবাইকে পাগল করে দিতে। তুমি এমন সুন্দরভাবে সেঁজেছো যে মানুষ বলবে ছেলে হয়তো বিয়ে করে বউকে সাথে নিয়েই বিয়ে করতে এসেছে।" তুলি বললো," হুম, বলতেই পারে। কারন, বরযাত্রী হয়তো এতক্ষনে পৌছে গেছে আর বর এখোনো রাস্তায়। আন্টিকে রাজি করাতে অনেকটা সময় চলে গেছে।" এসব শুনে আমার মুখ দিয়ে কোনো কথাই বের হচ্ছেনা।
অভি বিয়ে করতে যাচ্ছে? আমার চোখের সামনে অভি অন্য কাউকে বিয়ে করবে? কীভাবে মেনে নিবো এসব আর সবাইকেই বা এখন সবকিছু কীভাবে বুঝাবো! কেউ তো কিছু বিশ্বাস ই করবেনা। রহস্যের খোঁজে এগিয়ে যেতে যেতে যেন জীবনের কোনো ভয়ঙ্কর কঠিন পরিস্থিতির দিকে পৌছে যাচ্ছি। অভির তো আমার সাথে বিয়ে হয়ে গেছে। তাহলে অভি এখন কাকে বিয়ে করতে যাচ্ছে! কে সেই মেয়ে! এসব ভাবতে ভাবতে বিয়ে বাড়ির সামনে চলে এসেছি। রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন রঙের লাইটে সাঁজানো একটি বাসা।
বিয়ের পর যেখানে মেয়েরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে শশুর বাড়িতে যায় সেখানে আমাকে বরের বিয়েতে বরযাত্রী হয়ে আসতে হয়েছে! সবাই গাড়ি থেকে নামলো। কিন্তু আমি বসে আছি। অভিকে সবাই বরণ করে নিচ্ছে আর আমি এখানে একজন অতিথি ছাড়া আর কিছুই না। আমি চুলের খোপা টা খুলে ফেললাম। বউ সাঁজটাকে কিছুটা পরিবর্তন করে ফেললাম। নিজেকে শক্ত করতে গিয়ে বার বার ব্যার্থ হয়েও আবার নিজেকে শক্ত করার চেষ্টা করছি। এদিকে সবাই কখন ভিতরে চলে গেছে আমি তা খেয়াল ই করিনি। চারপাশ একদম নিরব হয়ে গেছে। আশেপাশে কোথাও কেউ নেই। আমি গাড়ি থেকে নামলাম। মনে হলো আমার পেছনে কেউ একজন দাড়িয়ে আছে। একটা থমথমে পরিবেশ। ভয়ে আমার শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। পেছনে ঘুরেই আমি ভয়ে চিৎকার করে উঠলাম!
চলবে...