নারীর কর্মসংস্থান ও ইসলাম | ইসলামে নারীর অধিকার এবং নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ব্যাখ্যা করণ Women's employment and Islam

 

 

বিবাহ ও পারিবারিক দায়িত্বের অন্যতম বিষয় হলো স্ত্রীর সন্তানধারণ জন্মদান ও দুগ্ধদানের জন্য বা এককথায় নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য সামগ্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমরা দেখেছি যে, ইসলাম এ বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করেছে। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিই হলো পারিবারিক কাঠামোর মধ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মদেরকে পরিপূর্ণ মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত করে গড়ে তোলা মানব জীবনের অন্যতম উদ্দেশ্য। এজন্য ইসলামের নারীদেরকে নিরাপদ মাতৃত্বের সাথে সাংঘর্ষিক সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। স্বামীর উপর ফরয করা হয়েছে স্ত্রীর সামগ্রিক সংরক্ষণ করা ও সম্মানজনক জীবনযাত্রার যাবতীয় খরচপত্র বহন করা। পাশাপাশি মাতৃত্বকে নিরাপদ করতে এ বিষয়ক সুষ্ঠ জ্ঞান ও সচেতনতা প্রয়োজন। পবিত্র কুরআনে ও হাদীসে প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রয়োজনীয় জ্ঞান অত্যন্ত সহজ সরল ও স্বাভাবিকভাবে প্রদান করা হয়েছে। যা কোনোরূপ সুড়সুড়ি দেওয়া ছাড়াই মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করে। 

 
নিরাপদ মাতৃত্বের একটি বিশেষ দিক হলো গর্ভবর্তী মায়েদের নিয়মিত চেকআপ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। এজন্য স্বভাবতই মহিলা চিকিৎসকের প্রয়োজন। একজন দীনদার মহিলা কোনো পুরুষের সামনে নিজেকে অনাবৃত করতে বা গোপন কথাগুলি বলতে পারেন না বা খুবই কষ্ট পান। এতে অনেক সময় সব কথা না বলায় বা মানসিক অস্বস্তির কারণে চিকিৎসা ব্যাহত হয়। এজন্য আমরা সরকার ও সমাজের প্রভাবশালী মানুষদের অনুরোধ করি যে, সকল পর্যায়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে মাতৃত্ব বিষয়ে মহিলা ডাক্তার ও সেবিকা রাখা হোক।
 
অনেক সময় আমরা নারী অধিকারের নামে পুরুষের কর্মে কোটা করে জবরদস্তিমূলকভাবে নারীদের চাকরী দেওয়ার ব্যবস্থা করি। এতে বহুুমুখি সমস্যা হয়। প্রথমত, কোটার কারণে যোগ্য ব্যক্তি কর্ম থেকে বঞ্চিত হন। অনেক সময় স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের একই পদের যোগ্যতা থাকলে এবং স্বামী কিছুটা বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন হলেও স্বামী বেকার থাকেন এবং স্ত্রী চাকুরী লাভ করেন। এতে পারিবারিক ও সামাজিক ভারসম্য নষ্ট হয়। প্রয়োজনে নারীরা চাকরী করবেন, কিন্তু স্বামীকে বেকার রেখে স্ত্রীকে চাকরী দেওয়ার ব্যবস্থা কত বড় অমানবিক তা আমরা বুঝতে পারি। 
 
দ্বিতীয়ত এরূপ ব্যবস্থা নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য প্রতিবন্ধক। তৃতীয়ত এতে জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে কর্মের জন্য মানসিক ও দৈহিকভাবে পুরুষ অধিকতর উপযোগী সে কর্মে নারীকে দিলে কর্মের ফলাফল কম আসে। এছাড়া নারীকে অতিরিক্ত কিছু ছুটি দিতে হয়। নারীর ছুটি পাওনা। কিন্তু পুরুষকে বেকার রেখে নারীকে কম খাটিয়ে জনগণের পয়সা খরচ করা কতটুকু যৌক্তিক তা আমরা বুঝতে পারি না।
পক্ষান্তরে যে কর্মগুলি নারীদের উপযোগী সে কর্মে আমরা নারীদের না দিয়ে পুরুষদের দিচ্ছি। মাতৃত্ব বিষয়ক চিকিৎসা, সেবা ও এ জাতীয় খাতে অগণিত মহিলার প্রয়োজন। কিন্তু সরকার ও সকল স্বাস্থ্য সংস্থা এ সকল খাতে পুরুষ নিয়োগ করছেন। আমরা প্রকৃতির সাথে সংঘর্ষ থেকে বিরত হতে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি এবং স্বাস্থ্য সেবা খাতে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
 
পাশাপাশি আমাদের বুঝতে হবে যে, প্রয়োজনের জন্য পুরুষ ডাক্তারকে সতর বা গোপন অঙ্গ দেখানো বা তাদের দিয়ে অপারেশন ও অন্যান্য চিকিৎসা করানো মুসলিম উম্মাহর সকল আলিম ও ফকীহের মতেই জায়েয। কুরআন ও হাদীসে বারংবার জীবন বাঁচানোর জন্য সকল প্রকার বিধিবিধানকে স্থগিত করা হয়েছে। এজন্য আমাদের সতর্ক হতে হবে যে, ধার্মিকতার নামে আমাদের বাড়াবাড়িতে যেন মায়েরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হন।
 
খুতবাতুল ইসলাম
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ। 
 
## ১। মন্তব্যঃ  
আপনি যা যা উল্লেখ করেছেন পোস্টে, তার ৯০% সমস্যাগুলোই আমি ফেইস করে এসেছি, স্টিল নাও করছি বাট একটা জিনিস আমি আপনাকে স্ট্রিক্টলি বলব আর সেটা হচ্ছে, নিজের রবের সাথে সম্পর্কের ব্যবধান টা কমিয়ে আনুন, নিজের ইচ্ছাশক্তি কে প্রাধান্য দিন, অল্পতে ভয় পেয়ে ঘাবড়ে যাবেন না। এই দুনিয়ায় আমরা ক্ষনিকের মেহমান। আজ না হয় কাল চলে যেতেই হবে ইনশাআল্লাহ। অতএব, দুনিয়ার ভয়ে যদি ইদুরের মতো গর্তে লুকাই, তাহলে এর চেয়ে বড় বোকামীর কাজ আর কিছুই হতে পারেনা। বাঁচলে সিংহের মতো বাচুন, ইসলামের বীরদের কথা স্মরন করুন, তারা কিভাবে নিজেদের কাবেলিয়াত কে টিকিয়ে রেখেছিলো আল্লাহর নাম নিয়ে। সর্বদা আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার নাম নিবেন মনে মনে, কেউ আপনাকে ঠেকাতে পারবেনা। বিয়েশাদির কথা বললে এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বিয়ে মানুষের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বিয়ে আপনাকে বাস্তবমুখী কাজকর্মের সম্মুখীন করবে। ফ্যান্টাসি তে ভোগা বাদ দিয়ে লাইফ নিয়ে আরেকবার ভাবুন। প্রোডাক্টিভ কাজ শুরু করে দেন। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ ছাড়া কেউ আপনায় ঠেকাতে পারবেনা। জাজাকাল্লাহ খাইরান।
 
## ২। মন্তব্যঃ
ভাই আপনার পোস্ট পড়ে আমার মনে হলোনা আপনি বোকা।
সূরা ত্বহা ২৫-২৮নং আয়াত মুখস্ত করুন দোয়া কবুলের সময় দৃঢ়তার সাথে পড়তে থাকুন, বেশি বেশি ইস্তেগফার করুন রাসুল (সা.) প্রতি দুরুদ পড়ুন এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরশা রাখুন। ইনশাআল্লাহ ইনশাআল্লাহ দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে।
 

==================== ০০০ ====================
আসসালামু আলাইকুম।
দয়া করে কেও এড়িয়ে যাবেন না।
আমার বয়স ২১। আমি আলহামদুলিল্লাহ ৫ ওয়াক্ত নামাজ প্রথম তাকবিরে পড়বার চেষ্টা করি। নজরের হেফাজত এবং গায়রে মাহরাম থেকে দূরে থাকার যথাসাধ্য চেষ্টা করি। সুন্নতি ভাবে চলার চেষ্টা করি। সহিহ ভাবে সুন্দর করে কোরআন তিলাওয়াত করতে পারি। এবং আরবি ও উর্দু ভাষা আয়ত্ত্ব করেছি। বর্তমানে ফার্সি শিখছি। এবং আমি একজন জেনারেল শিক্ষিত, অনার্স ১ম বর্ষে পড়ি ইংরেজি নিয়ে। ওভারঅল আমি একজন ভালো মুসলিম
আমার একটা সমস্যা আছে। কিন্তু আপনাদের নিকট তা কিভাবে তুলে ধরবো তা আমি জানিনা😔
আমার দুনিয়াদারি বিষয়ে জ্ঞান খুব কম। আমি কার সাথে কখন কি বললে উক্ত পরিবেশের সাথে মানানসই হবে তা আমি জানিনা। মানুষের ইশারা বুঝি কম। আমার কিছু কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় সদ্য ভুমিষ্ঠ হয়েছি যেনো কিছুই বুঝি না। আমি ভালো নিয়তে খারাপ কাজ করে ফেলি। এবং সেটি যে খারাপ তার ব্যাপারে আমার কোনো জ্ঞানই ছিলো না😔। সোজা ভাবে বলতে গেলে, আমি একটা বলদ, বোকা। আমাকে অনেকেই এধরণের নিকনেম দিয়ে পাবলিকলি সম্বোধন করে। আমার খুব লজ্জা লাগে এবং আমি এড়িয়ে যাই। আমাকে কেও পচানি দিলে আমি তাকে উচিৎ জবাবও দিতে পারি না। বরং আরো বেশি হাসির পাত্র হই। যেখানেই যাই। আমার এখন ঘড় থেকে বেড় হতেই মনে চায় না কারন চারিদিকেই আমি হাসির একটা পাত্র। তবুও বের হতেই হয় বাধ্য হয়ে মসজিদে যেতে হয় ভার্সিটিতে যেতে হয়। অন্যদের কান কথা শুনে সহ্য করে যেতে হয়।
তো যাই হোক এখন মুল কথায় আসি। আমি মনে করি আমার বিয়ে শাদি করা উচিৎ নয়। কারন আমাকে বিয়ে করলে আমার বউ কেও আমার কারনে সহ্য করতে হবে। তাছাড়া শশুর বাড়িতে গিয়ে বউ এর আত্বিয়দের সাথেও যদি এরোকোম বলদামি করি তাহলে তো, কিছু বলার নাই। কিছুদিন আগে একটা দোকানে কাজ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমার বোকামি আর বারংবার ভুল করার কারনে আমাকে বের করে দেয়া হয়। তাই এখন মনে হয় আমি কিছু করেও খেতে পারবো না। আরো অনেক কিছুই ভেবে আমার মনে হচ্ছে যে আমার বিয়ে শাদি করা ঠিক হবে না।
এখন আমি আপনাদের নিকট কিছু একটা আশা করছি🥺। একটা পরামর্শ? অথবা একটা শান্তনা অন্তত?💔 এমন ইস্যু মনে হয় না কখনো কেও পেশ করেছে। দয়া করে কিছু একটা বলবেন।
 
বিঃদ্রঃ কেও উপহাস করবেন না। এবং কেও এ কথা বইলেন না যে 😪 "যে নিজেকে বোকা বলে সে চালাক"
জাযা'কুমুল্লাহ পোস্টটি পড়বার জন্য। 
==============০০০==============

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url