ধর্ষণের_পর_বিয়ে | Marriage after rape

 .
                    ধর্ষণের_পর_বিয়ে | Marriage after rape

আবির রেডি কিছুক্ষণ পর সে শান্তির সাথে রুম ডেট করবে। আবিরের মাইন্ড আজ খুব ফ্রেশ। ওই দিকে বেচারি শান্তি সারাদিন ধরে শান্ত হয়ে আছে। আর কিছুক্ষণ পর নারীর অমূল্য সম্পদ বিলিয়ে দিতে হবে তার প্রেমীকের কাছে। আর কখনো সে নিজেকে ভার্জিন বলে দাবি করতে পারবে না। এই কথা ভাবতেই শান্তির দম বন্ধ হয়ে আসছে।


শান্তির সাথে আবিরের পরিচয় হয়েছিলো একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে। আবির বড়লোক বাপের একমাত্র সন্তান, বাইক চালিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হলো। দেখতে ছেলেটা খুবই স্মার্ট। যেকোন মেয়ে তার উপর ক্রাশ খাওয়ার যোগ্যতা রাখে।
.
কমিউনিটি সেন্টারের নিয়ম, উপর তলায় কনে থাকবে। নিচ তলায় বর। আবির নিয়ম ভঙ্গ করে উপর তলায় গেলো কনেকে দেখার জন্য। একে তো সে বড়লোক বাপের সন্তান, তার উপর আবার সে বরপক্ষের লোক। বেশ ভাবসাব নিয়ে কনে কে দেখতে গেলো। ফোনে কনের ছবিও তুলে ফেললো। আসার সময় বেশিরভাগ ছেলের যেই অভ্যাস, ইচ্ছে করে মেয়েদের শরীরে হাত দেওয়া। একটা মেয়েকে ধাক্কা দিয়ে সে চলে এলো। নিচে এসে তার বাইকের উপর বসে সিগারেট ধরালো। দিব্যি আরামে সিগারেট টানছে। কোথা থেকে এক পিচ্চি ফোন হাতে নিয়ে এসে আবিরকে বললোঃ ভাইয়া আমার আপু বলছে আপনার ফোন নাম্বারটা দেওয়ার জন্য।
আবিরঃ কে তোমার আপু?
পিচ্চিঃ ওই দেখুন।
.
আবির নিচ থেকে উপর তলায় তাকিয়ে দেখে, আরে এ তো ওই মেয়েটা যাকে আমি ধাক্কা দিয়েছিলাম। মেয়েটা দেখতেও মাশাল্লাহ খুব সুন্দর।
.
আবির মনে মনে ভাবছে, মেয়ে পটানুই তো আমার স্টাইল। কিছুদিন ইউজ করে মেয়েটাকে ছেড়ে দিব। কোন কিছু না ভেবেই ফোন নাম্বার দিয়ে দিলো।
সেই থেকেই আবিরের সাথে শান্তির রিলেশন।
.
তাদের রিলেশন শুধু ফোনে কথা বলার মধ্যে সীমাবদ্ধ না, অনেক সময় একে অপরের সাথে দেখা সাক্ষাৎ ও হয়েছে। তবে বেশিরভাগ সময় তাদের কথাবার্তা হতো মেসেঞ্জারে। ফোনে কথা বলার সময় আবির খুব নিরব থাকে। যা কথা বলার শান্তি'ই বলে। কিন্তু মেসেঞ্জারে কথা বলার সময় আবির সব সময় অশ্লীল কথাবার্তা বলে, অশ্লীল ফটো দেয়। এসব দেখে শান্তির খুব খারাপ লাগে, কিন্তু শান্তি কিছু বলে না। শান্তি আবিরকে ভালোবাসে, পাগলের মতো ভালোবাসে। শান্তি মনে করে, কিছু বলতে গেলে যদি আবির আবার রাগ করে!
.
একদিন আবির শান্তিকে মেসেঞ্জারে প্রস্তাব দিলো...
আবিরঃ চলো আমরা দুজনে রুম ডেট করি।
এই মেসেজ দেখে শান্তি নিস্তব্ধ হয়ে গেলো। কিছুক্ষণ পর শান্তি আবির কে টেক্সট দিলোঃ দেখো আবির আমরা দুজন দুজন কে ভালোবাসি। ভালোবাসার মধ্যে অশ্লীলতা কে ডেকে এনো না।
আবিরঃ কি করব আমি, আমি তো পারছিনা। কোন এক নির্জন বিছানায় আমি তোমার সাথে একটা দিন কাটাতে চাই।
শান্তিঃ বিয়ের আগে এসব করা পাপ। আমি পারব না আবির।
আবিরঃ তুমি কি আমাকে ভালোবাসো না?
শান্তিঃ বিশ্বাস করো আমি আমার নিজের থেকেও অনেক বেশি ভালোবাসি তোমাকে।
আবিরঃ যদি আমাকে সত্যিই ভালোবেসে থাকো তাহলে আমার কথা শুনছো না কেনো? শুনেছি ভালোবাসার মানুষের জন্য নাকি মানুষ সব কিছু করতে পারে তাহলে তুমি আমার জন্য এই সামান্য জিনিস করতে পারবে না? মাত্র একটা দিনই তো!
শান্তিঃ এটাকে তুমি সামান্য জিনিস বলছো? আমার জীবন মরণের বিষয় এখানে। আর তুমি বলছো সামান্য?
আবিরঃ একটাবার'ই তো। প্লিজ লক্ষী সোনা রাজি হয়ে যাও।
শান্তিঃ ভালোবাসা দুটি দেহের মিলনে হয় না। দুটি মনের মিলনে হয়। তোমার সাথে আমার মনের মিলন যদি হয় তাহলে দেহ দিয়ে কি করবা? তাছাড়া বিয়ের পর আমার সব কিছু তো তোমার।
আবিরঃ বিয়ের পর তোমার সব কিছু আমার বুঝলাম কিন্তু বিয়ের আগে কি করব? আমার যৌবনটা-কে যে ধরে রাখতে পারছি না। প্লিজ তুমি রাজি হয় যাও লক্ষীটি।
শান্তিঃ না আমি পারব না।
আবিরঃ তুমি কি চাও আমি কোনো নিশিদ্ধ পল্লীতে গিয়ে আমার যৌবনের চাহিদা মিটাই?
শান্তিঃ মানে কি? আমাকে ছেড়ে তুমি অন্য মেয়ের ব্রেড পার্টনার হবে। না তা হতে পারে না।
আবিরঃ তাহলে আমার কথায় রাজি হয়ে যাও প্লিজ।
শান্তিঃ ঠিক আছে আমি রাজি। তবে একটা শর্ত আছে
আবিরঃ কি শর্ত?
শান্তিঃ আমাদের ভালোবাসার কসম করে বলতে হবে, আর কখনও এসব চিন্তা মাথায় আনবে না? এবং অন্য কোনো মেয়ের সাথে রুম ডেট করতে চাইবে না?
আবিরঃ ওকে কসম করলাম, আমাদের ভালোবাসার কসম।
.
আবির ঠিক করে দিলো যা হবার তা আগামীকাল দুপুর দুইটায় তার বন্ধুর বাসায় হবে। শান্তি রাজি হয়ে গেলো।
.
শান্তির কি বা করার আছে। মেয়েটা ছেলেটাকে পাগলের মতো ভালোবাসে। শান্তি চায় না আবির অন্য কারো হোক। এই শান্তি শুধু আবিরের, আবির শুধু শান্তির।
.
পরদিন সকাল থেকে শান্তির খাবার দাবার বন্ধ। কিছুই খেতে মন চাচ্ছে না তার। শান্তির মা জানতে চেয়েছেন শরীর খারাপ কি না?
শান্তিঃ না আমি ঠিক আছি।
.
দুপুর একটা থেকে কাপড়চোপড় পড়ে রেডি হয়ে আছে শান্তি। কিন্তু বাসা থেকে এক পা অগ্রসর হতে পারছে না মেয়েটা। কি করবে কিছুই বুঝতেছে না। এসব ভাবতে ভাবতে তার রুমে গিয়ে শুয়ে পরলো। দুটার দিকে আবিরের ফোন।
শান্তি ফোন রিসিভ করেঃ হ্যালো!
আবিরঃ কই তুমি? কতক্ষণ ধরে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।
শান্তিঃ আসছি বলে ফোনটা কেটে দিলো।
.
আর একটুও দেরী করা যাবে না। এখন না গেলে ভালোবাসার মানুষটাকে জীবনের মতো হারাতে হবে।
টেক্সিতে করে আবিরের দেওয়া ঠিকানায় শান্তি বেলা আড়াইটার দিকে পৌঁছালো।
রুমের মধ্যে গিয়ে দেখে আবির বিছানায় শুয়ে সিগারেট টানছে।
শান্তিঃ কেমন আছো?
আবিরঃ এতো লেট হলো ক্যান? (রাগী কন্ঠে)
শান্তিঃ স্যরি।
আবিরঃ ঠিক আছে, এবার কাছে এসো...
Part:-1
চলবে…………

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url