একজন মনের মত মানুষ চাই। মোবাইল নাম্বার ভিডিওতে দেওয়া আছে। Moner Moto Akjon Manush Cai | Episode#04
একজন মনের মত মানুষ চাই। মোবাইল নাম্বার ভিডিওতে দেওয়া আছে। Moner Moto Akjon Manush Cai | Episode#04
হযরত মুসা (আঃ) যামানায় এক বৃদ্ধার একটি বাচ্চা মারা গেল, সেই দুঃখে বৃদ্ধা কাঁদতে লাগল,তখন হযরত মুসা (আঃ) বৃদ্ধা কে বললেন তুমি কাঁদছ কেন? তখন বৃদ্ধা উওর দিল!আমার বাচ্চাটি মারা গেছে এইজন্য কাঁদছি। তখন মুসা (আঃ) বললেন বাচ্চাটির বয়স কত? বৃদ্ধা উওর দিল ৩৫০( তিন শত পন্ধাশ) বছর।মুসা (আঃ) বললেন তোমার এই বাচ্চাটির ৩৫০ বছর জীবিত ছিল,কিন্তু এমন একটি যামানা আসবে যেই যামানার নবীর উম্মত মাএ ৬০ থেকে ৭০ বছর বাঁচবে,
আর সেই নবীর হলো হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। তখন বৃদ্ধা অবাক হয়ে বলল, তারা বালেগ হবে? মুসা (আঃ)উওরে বললেন হ্যা তারা বালেগ হবে।বৃদ্ধা মহিলা পুনরায় প্রশ্ন করলে তার এই সামান্য সময়ে বিয়ে সাদি করতে পারবে? মুসা (আঃ) বললেন তারা এই সামন্য সময়ে বিয়ে করবে এবং তাদের থেকেও সন্তান হবে।বৃদ্ধা মহিলা পুনরায় প্রশ্ন করল,
তারা এই সামান্য সময়ে কীভাবে নেকি এবং সওয়াব অর্জন করবে?তখন হযরত মুসা (আঃ) বললেন তার এই সামান্য সময়ে এত নেকি অর্জন করবে যে, তাদের নেকি যদি আমাদের নেকির উপর রাখা হয় তাহলে আমাদের নেকির কোন নিশানাও থাকবে না।শুধু তাদের নেকি দেখা যাবে। কারন উম্মতে মুহাম্মাদিকে আল্লাহ তাআলা এমন একটি মাস দিবেন,যে মাসের নাম রমজান মাস, যে মাসে একদিন ইবাদাত করলে ৮৩ (তিরাশি) বছরের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে।তাহলে তারা যদি এইরকম একটি মাস পায় তাহলে হিসাব করলে আমাদের কোন নেকি তাদের সমান হবে না।
(ইসলামিক পোস্ট)
=================================
বাসররাতে আমার স্বামী তার বুকের সাথে আমার হাতটা চেপে ধরে বললো,
— আমি কি তোমাকে বিশ্বাস করতে পারি? কখনো তোমার কাছে তোমার অতীত জানতে চাইবো না। শুধু তোমার ভবিষ্যৎটা সম্পূর্ণ আমার।
আমি মুচকি হেসে বললামঃ হুম আপনি পারেন আমাকে বিশ্বাস করতে। আমি আপনার হক কাউকে দিবো না। আমি কি আপনাকে বিশ্বাস করতে পারি?
কথাগুলো বলার সময় আমাদের দুইজনের চোখ পানিতে ভিজে যাচ্ছিলো। সে আমার চোখ মুছে দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। কিছু সময় পর আমি বললাম আপনি চোখের পানি মুছুন।
সে হেসে বলেছিলোঃ- এই চোখের পানি মোছার দ্বায়িত্ব তোমার।
— আমি কখনো আপনার চোখে আমার জন্য পানি আসতে দিবো না।
— আমিও দিবো না।
সেদিনের পর থেকে রোজ রাতে আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার স্বামী বলতো— আমি বিশ্বাস করি তোমায়। আমিও তার কথায় মুচকি হাসি দিতাম।
একদিন খেয়াল করলাম সে কয়েকটা কাগজ নিয়ে পড়ে আর মুচকি মুচকি হাসে। কিন্তু এই মোবাইল ফোনের যুগে কি কেউ লাভলেটার দেয় নাকি? আমি আসলেই কাগজগুলো লুকিয়ে ফেলে।
কেমন একটা সন্দেহ তৈরী হলো। তাহলে কি এখন চিঠির মাধ্যমে প্রেম করেন উনি। তাই যদি না হয় তাহলে আমায় দেখলেই কেন সে কাগজগুলো লুকিয়ে রাখবে। লুকিয়ে খেয়াল করে দেখলাম সে কাগজগুলো ম্যানিব্যাগে রেখে দেয়৷
গোসল করতে বাথরুমে গেলে লুকিয়ে কাগজগুলো বের করতেই আমার চোখ কপালে উঠলো। কি সুন্দর প্রেমের বানী লিখে রেখেছে। রাগের থেকে কষ্টই বেশি হচ্ছিল। হঠাৎ খেয়াল করলাম হাতের লেখাটা আমার৷ একমিনিট! এইগুলো তো আমার ডাইরির পেজ।
তার মানে উনি আমার ডাইরি থেকে সব পেজ ছিড়ে নিয়েছে। দৌড়ে গিয়ে ডাইরি বের করে দেখলাম তাতে একটা লেখা পেজও আর নেই। সব ছিড়ে নিয়ে গেছে।
বাথরুম থেকে বের হয়ে সে এই অবস্থা দেখে কি করবে বুঝতে পারছিলো না। আমি ততো সময় রেগে ফুলে বেলুন হয়ে গেছি। পরিস্থিতি সামাল দিতে সে আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললো
— আসলে এতো সুন্দর কথা আমাকে নিয়ে লেখেছো যে সবসময় পড়তে ইচ্ছে করে তাই ছিড়ে নিয়েছি তুমি রাগ করো না৷ সবসময় তো তোমার সাথেই থাকতে ইচ্ছে করে কিন্তু পারি না তাই নিয়েছি তুমি রাগ করো না সোনাবউ আমার৷
আমি রাগ দেখিয়ে চলে গেছিলাম। বিকালে অফিস থেকে ফেরার সময় ফুচকা চটপটি আইসক্রিম চকলেট গোলাপফুল আর বেলিফুলের মালা নিয়ে এসেছিলো৷ বোকা হাসি দিয়ে বললো
— তোমার কি পছন্দ তাতো জানি না তাই সব নিয়ে এলাম। তুমি আবার পছন্দ জানি না বলে রাগ করো না কিন্তু। তাহলে এখন আমি কিন্তু কান্না করবো।
তার কথাশুনে আমি ফিকফিক করে হেসে দিলাম। সে মুগ্ধ চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কিছুদিন পর আমার ফোনে অচেনা একটা নম্বর দিয়ে কল আসলো সে পাশেই বসা ছিলো। আমি অনেক দ্বিধা নিয়ে কলটা রিসিভ করে লাউডস্পিকারে দিয়ে রাখলাম। ওপাশ থেকে মা কথা বলছে। কথা শেষে সে মুচকি হেসে বললো
— আমি পাশে থাকলে লাউডস্পিকারে দিয়ে কথা বলার দরকার নেই। আমি বিশ্বাস করি তোমায়।
— সবাই ভালোবাসি বলে আর আপনি বিশ্বাস করি বলেন কেন?
— ভালোবাসার রং বদলে যেতে পারে কিন্তু বিশ্বাস বদলায় না হয়তো ভেঙে যায় নয়তো অক্ষত থাকে। আর ভালোবাসি কথাটা প্রমাণ করা অনেক কষ্টের আর বিশ্বাস করা প্রমাণ করা কিছুটা সহজ। ভালোবাসার প্রথম স্তর হলো বিশ্বাস।
বিশ্বাস না থাকলে কখনো ভালোবাসা থাকে না৷ তোমাকে যদি অন্য ছেলে বলে ভালোবাসে তোমায় তখন তোমার মনে হবে আমি বিশ্বাস করি তোমায়। কারো সাথে ঘনিষ্ঠ হতে গেলেও এটা মনে পড়বে।
আমি তার কথা শুনে আবেগে চোখের পানি ফেলেছিলাম। সে ব্যস্ত হয়ে পানি মুছতে লাগলো আর বলতে লাগলো তোমাকে কি কষ্ট দিয়ে ফেললাম আমি? আমি মাথা নেড়ে না বলে তাকে জড়িয়ে ধরে ছিলাম।
সময়ের সাথে আমার সুখের সংসার পর হচ্ছিল। কিন্তু সুখ সবার কপালে সহ্য হয় না। একদিন দুইজনে ঘুরতে গিয়ে একটা গাড়ি আমাকে চাপা দিতে এগিয়ে এলো আমাকে বাঁচাতে গিয়ে মানুষটা গাড়ির নিচে পড়ে গেলো। আমি তার মাথাটা কোলে তুলে নিলাম। সে আমার দিকে তাকিয়ে বললো
— আল্লাহ চাইলে আমাদের জান্নাতে দেখা হবে আর তুমি আমার জন্য দোয়া করো। একটা কথা বলবো আমি অনেক হিংসুটে তোমার ভাগ কাউকে দিতে চাই না। আমি সত্যিই চাই না ওপারে কেউ তোমাকে দাবী করুক। আমি বিশ্বাস করি তোমায়।
— তোমার কিছু হবে না। ভালো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আমি সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি সবাই চলে আসলো বলে।
লোকটা সেদিন আর কথা বলেনি। বিদায় নিয়ে চলে গেছে দুনিয়া থেকে। সেদিনের পর আরো পনেরোটা বছর পর পার হয়ে গেছে।
আমার মা বাবা শশুর শাশুড়ী সকলে আমার জন্য পাত্র খোঁজে। আশেপাশের লোকজন বলে তোমার বয়সই বা কত আর একটা বিয়ে করে নেও। কিন্তু কাউকে নিয়ে কিছু ভাবতে গেলে আমার কানে একটাই কথা বাজে— “আমি বিশ্বাস করি তোমায়।”
গল্প: বিশ্বাস
============================
বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের ফুডকোর্টে গতকাল অন্যরকম একটা জিনিস চোখে পড়লো। আমি বসে বসে দোসা খাচ্ছিলাম চুপচাপ। আশেপাশে অনেক মানুষ। কেউ কাউকে নোটিশ করছে না। এমন সময় একটা ছেলে আসলো। এতো মানুষের ভীড়েও যার দিকে আমার চোখ পড়ে গেল আলাদাভাবে৷ বয়স কত হবে, তেইশ চব্বিশ? পরনে সাদা শার্ট। বহু ব্যবহারে কুচকে আছে৷ কলারে ময়লার রেখা। সাথে একটা পুরাতন রঙ ওঠা জিন্সের প্যান্ট। শ্যামলার একশেড নিচে গায়ের রঙ। হয়তো একসময় উজ্জ্বল শ্যামলা ছিলো৷ রোদে পুড়ে এখন কালোর দিকে৷ চোখের নিচে কালি। শুকনো হাত পা। গলার হাড় দেখা যাচ্ছে৷ ছেলেটাকে নোটিশ করার অন্যতম কারণ হলো, বসুন্ধরায় ফুডকোর্টের সামনে দিয়ে হাটলেই দোকানদাররা ডাকাডাকি করে। ছেলেটাকেও ডাকছিলো। সে আমার সামনেই লাজুক মুখে এক দোকানদারকে বললো, 'ফ্রাইড রাইস আছে এখানে?'
হয়তো প্রথমবার এসেছে। নাহয় জানার কথা যে ফুডকোর্টের প্রায় সব দোকানেই ফ্রাইড রাইস থাকে। দোকানদার বললো, হ্যা আছে৷ ছেলেটা বললো, 'দেন আমাকে এক প্লেট। সাথে চিকেন ফ্রাই দিয়েন একটা।'
বলে আমার কাছাকাছি এক টেবিলে বসলো। চলাফেরায় অস্বস্তির ছাপ স্পষ্ট। চোখে রাজ্যের সংকোচ। আমার এতো মায়া লাগলো। হয়তো টাকা জমায়ে ফাইনালি এই জিনিস খেতে এসেছে। কতদিন ভেবেছে আর কটা টাকা হলে ফ্রাইড রাইস খাবে৷ সামান্য একটা খাবার৷ এটাও কারো জন্য স্বপ্ন হতে পারে। আহারে!
জিনিসপত্রের এখন যা দাম৷ মধ্যবিত্তদের বাঁচার উপায় নেই। ছেলেটাকে দেখে অবশ্য মধ্যবিত্তও লাগছে না৷ নিম্নমধ্যবিত্ত হতে পারে৷ হয়তো লেখাপড়া করে৷ টিউশনি থেকে মাস গেলে চার পাঁচ হাজার টাকা পায়। সেই টাকায় ঢাকা শহরে সারভাইব করে৷ মেসে থাকে৷ গাদাগাদি করে এক রুমে চারজন৷
কিংবা হয়তো ছোটোখাটো কোনো চাকরি করে৷ দশ বারো হাজার টাকা বেতন। যার একটা অংশ গ্রামে পাঠানো লাগে। ফেসবুকে বা ইউটিউবে দেখেছে এই জায়গায় কম দামে ফ্রাইড রাইস পাওয়া যায়৷ আজ এখানে খেয়ে হয়তো ছেলেটার আগামী কয়েকদিন সন্ধ্যায় নাস্তা করার টাকা থাকবে না।
আমার একবার ইচ্ছা হলো গিয়ে বলি, তুমি খাও। যা খুশি খাও। ভাজা ভাত আর ব্রয়লার মুরগি তেলে চুবিয়ে ফ্রাই করা এই অখাদ্য ছাড়াও এই ফুডকোর্টে আরো বহু সুস্বাদু খাবার আছে৷ তোমার যা মন চায় খাও। বিল আমি দিব। কিন্তু বলা হলো না। মানুষ হয়ে জন্মানোর অনেক সমস্যা। সবাইকে সব বলা যায় না। তারপরও ছেলেটা তো ভিক্ষুক না৷ কারো কাছে চেয়ে খাচ্ছেনা৷ নিজের পরিশ্রমের টাকায় খেতে এসেছে। ছবি তুলে হয়তো ফেসবুকে দিবে। বন্ধুরা অবাক হয়ে লাভ রিয়্যাক্ট দিবে৷ ছেলেটার গর্বে বুক ভরে যাবে৷ এতোটুকু গর্ব করার অধিকার তার আছে৷ আমি বিল দিতে চেয়ে ছেলেটাকে অপমান করা ঠিক হবে না।
খাবার আসলো। ছেলেটার শুকনো চোখে লোভ৷ সুস্বাদু খাবার খেতে পারবে। চোখদুটো চকচক করছে৷ আমার চোখে পানি চলে আসলো। এতো সামান্য একটা খাবার৷ আহারে! মানুষ বাঁচবে কিভাবে৷ এতো দাম সবকিছুর।
যা ভেবেছিলাম তাই। খাবারটা সুন্দর করে সাজালো। ছবি তুলবে৷ পকেট থেকে ফোন বের করলো৷ আমি অবাক হয়ে দেখলাম, একটা আইফোন ফরটিন প্রো ম্যাক্স..
আমি আস্তে করে আমার শাওমি রেডমি নোট ইলেভেন ফোনটা নিয়ে উঠে চলে আসলাম।
পরিশিষ্ট: বসুন্ধরা থেকে নেমে একটা চা খেলাম। বাসায় আসার জন্য রিক্সা নিচ্ছি৷ দেখি কালো রঙের একটা দামী গাড়িতে ছেলেটা বসে আছে৷ আমার রিক্সার পাশ দিয়েই গেল গাড়িটা..........