মাথার পাশে কে দাঁড়িয়ে | Who is standing next to the head
মাথার পাশে কে দাঁড়িয়ে
এ
কাহিনী আমার মায়ের জীবনে ঘটা। প্রসঙ্গত আগে বলে নিই ঘটনার সময় আমি
স্থানীয় বিদ্যালয়ে ছিলাম। আমার দিদি টিউশনে গিয়েছিল। দাদা মাঠে খেলতে
গিয়েছিল। তাই বাড়িতে মা একলাই ছিল। তখন গরমকাল।
দুপুরের
আহারাদী সম্পন্ন করে মা খাটে শুয়ে ছিলেন। এইভাবে কতক্ষণ কেটেছে মনে পড়ে
না। তন্দ্রা ভাবটা গভীর হয়ে ঘুমে পরিণত হয়েছে সবে। মা হঠাৎ যেন শরীরের
ভেতর থেকে অনুভব করে তার মাথার সামনে উল্টো দিক থেকে কে যেন এসে
দাঁড়িয়েছে। ফাঁকা ঘর। স্বভাবতই একটু ভয় দানা বাঁধে। মায়ের ঘুম ছুটে
যায়। আস্তে আস্তে মা মাথাটা উঁচু করে তাকায় আর তাকিয়েই দেখতে পায়।
প্রায়
সাড়ে চার ফুট উচ্চতা। একটা কদাকার কালো দেখাতে ছেলে দাড়িয়ে আছে।
চোখগুলো সাধারণ মানুষের থেকে বেশ বড় বড়। দাঁতগুলো মুখ থেকে বেরিয়ে
এসেছে। ঠোঁট প্রসারিত করে মায়ের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ওটা যেন
বিচ্ছিরি ভাবে হাসছে। মায়ের সারা শরীর কাঁটা দিয়ে ওঠে। এখানে বলা বাহুল্য
আমাদের পাড়ায় একটা ঐ উচ্চতার ছেলে ছিল। নাম ছিল গোপাল। সেই নাম ধরে মা
দুই চার বার ডেকেছিল। কে রে গোপাল নাকি। গোপাল? গোপাল? কিন্তু মায়ের কথায়
মূর্তিটা সাড়া দিল না। তার মুখের হাসি যেন আরো বীভৎস ও ভয়ানক হয়ে উঠল।
মা স্পষ্ট দেখলো ছেলেটি দুহাত আস্তে আস্তে উপরে তুলছে তারপর হাত দুটো
মায়ের দিকে প্রসারিত করছে। কতকটা হাত দুটো ভেসে ভেসে যেন মায়ের দিকে
এগিয়ে আসছে। ঠিক তখনই বাইরে জলের ঝপাং ঝপাং শব্দ হয়। আসলে আমার দাদা মাঠ
থেকে ফিরে পাতকুয়ার জলে পা ধুত। হঠাৎ সেই জলের শব্দে ছেলেটি যেন হাওয়ার
মধ্যে মিলিয়ে গেল। একটু পরে দাদা ঘরে এসে ঢুকলো।
মা
আজো জানতে পারে নি সেদিন এর সেই ছেলেটি কে ছিল? তবে আজো যখন এই ঘটনা বলে
বেশ ভয়ার্ত মুখ তার হয়ে ওঠে। গায়ের লোম খাড়া হয়ে থাকে।
(সমাপ্ত)
========================= 0000000000 ====================
ভুতের গল্প
পুরনো
সিলিং ফ্যানটা কিনে আনার পর থেকেই রাতে আমার ঘুম হয় না। প্রতিরাতে স্বপ্নে
দেখি ফ্যান থেকে একটা মেয়ে ঝুলে আছে, চোখ পুরোপুরি খোলা আর স্থির, আধহাত
জিহ্বা বেড়িয়ে আছে মুখ থেকে। ভয়ে ঘুম ভেঙে যায়, আর ঘুম আসে না।
কয়েকরাত
আগে সবচেয়ে ভয়ঙকর ঘটনা ঘটলো। সেই একই স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে গেছে, চোখ গেছে
ফ্যানের দিকে। তাকিয়ে দেখি স্বপ্নে আর বাস্তবে কোনো পার্থক্য নেই, ঠিক
একটা মেয়ে একই রকম ভাবে ফ্যানে ঝুলে রয়েছে। এক মুহূর্তেই উধাও হয়ে গেল
মেয়েটা।
পরদিন
ফ্যানটা ফেরত দিতে গেলাম। দোকানি হেসে বললো, 'আপনি হলেন তিন নাম্বার
কাস্টমার যে ফ্যানটা ফেরত দিলো। আগের দুই জনও একই কারণে ফেরত দিছিল
ফ্যানটা।'
আমি জিজ্ঞেস করলাম, 'কাহিনী কি, বলতো?'
'কাহিনীতো
তেমন কিছু জানি না স্যার। তবে শুনছিলাম ফ্যানের যে মেইন মালিক তার মেয়ে
নাকি এই ফ্যানের সাথে গলায় দড়ি দিছিল। এরপর থেকেই নাকি ফ্যানে সবাই
উল্টাপাল্টা জিনিস দেখে।'
(সমাপ্ত)